দোহাজারীতে সংখ্যালঘুর সম্পদ দখলের চেষ্টা, মিথ্যা মামলায় হয়রানি

মো: ছরওয়ার কামাল: দোহাজারীতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সম্পদ দখল, মিথ্যা মামলা, হামলা এবং উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের আঙুল সরাসরি সাবেক দুই স্বৈরাচারের দোসরদের দিকে। তাদের প্ররোচনায় এবং স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী চক্রের সহযোগিতায় এই অপতৎপরতা চলছে বলে দাবি ভুক্তভোগীদের।

ভুক্তভোগী তাপস দে, সঞ্জিত দাশ এবং ধন দাশ তাদের লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, দিয়াকুল মৌজার বিএস ১১৮৮ দাগের অধীনে থাকা ৬২ শতক জায়গা স্থানীয় নাছির উদ্দীন মেম্বার ও মনি প্রভা দাশের নিকট থেকে ক্রয় করেন।

দলিল এবং নামজারি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর, জায়গার দখল বুঝে নিতে গিয়ে তারা রাখাল দাশ নামে এক বর্গাচাষাকে জায়গায় অবস্থান করতে দেখেন।

উভয় পক্ষের সম্মতিতে এবং স্থানীয় মিলন কান্তি দাশ থেকে, নাছির উদ্দীন মেম্বারের মাধ্যমে ও সাংবাদিক বাবুলের উপস্থিতিতে ৬ লাখ টাকা সহায়তা দেওয়া হয়। এরপর উক্ত ব্যক্তি রাখাল দাশ অন্যত্র গিয়ে বসতি স্থাপন করেন।

তৎপরবর্তীতে জায়গার প্রকৃত মালিকেরা শহরে অবস্থান করার সুযোগ নিয়ে স্থানীয় কুচক্রী মহলের সহায়তায় রাখাল দাশের ছেলে পরিচিত মাদক ব্যবসায়ী কাজল দাশ ও চন্দন দাশ উক্ত ভূমিতে মাদকের হাট বসায়। এরা সাবেক স্বৈরাচারী সরকারের কিছু দোসরের প্রত্যক্ষ মদদে জায়গায় ঢুকে তাপস, ধন ও সঞ্জিতের ক্রয়কৃত ভূমিতে থাকা পরিত্যক্ত ঘর ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়।

খবর পেয়ে জমির মালিকেরা জায়গায় উন্নয়ন কাজ শুরু করলে কাজল-চন্দন গং চাঁদা দাবি করে এবং কাজ বন্ধ করতে বাধ্য করে। চাঁদা না পেয়ে মাদক ব্যবসায়ী এই জমিকে সরকারি খাস জমি বলে দাবি করে মালিক পক্ষকে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেয়।

কাজল ও চন্দন গং স্বৈরাচারী দোসরদের সহযোগিতায় এবং স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসীর প্রত্যক্ষ মদদে জমির প্রকৃত মালিকদের নামে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করে। অভিযোগ করা হয় যে, জমিটি তাদের দখলে এবং মালিকপক্ষের দাবি ভুয়া।

ভুক্তভোগী সঞ্জিত দাশ জানান, “মামলা দায়েরের পর থেকেই মাদকাসক্ত চন্দন ভাড়াটে মহিলা এনে আমাদের নিয়মিত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তারা জায়গায় এসে নারী নির্যাতনের মামলা দিয়ে আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে বলে স্থানীয়রা জানান। স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী তাদের শক্তি জোগাচ্ছে।” কথিত আছে, ভিকটিম এই জায়গা ক্রয় করার আগে সন্ত্রাসী চক্র উক্ত জায়গাকে মাদকের আঁকড়া ও সরকারি বনখেকোদের অভয়ারণ্য হিসেবে ব্যবহার করতো।

সঞ্জিত দাশ আরও বলেন, “কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী কাজল ও চন্দনের কার্যক্রমকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিচ্ছে। এতে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।”

ভুক্তভোগী পরিবার সুষ্ঠু বিচার এবং নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন। তারা আশা করছেন, প্রশাসন অবিলম্বে ব্যবস্থা নিয়ে তাদের এই দুঃসহ পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করবে।

এ ব্যাপারে চন্দনাইশ থানার ওসি তদন্তের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মামলা তদন্তাধীন।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই সুজন শর্মা (০১৮৩০-৫৯১৩৯৭) জানান, আমি বাদীর কথা শুনে মামলা নিয়েছি, আসামীর সাথে কথা বলার প্রয়োজন মনে করিনি। আপনি কিছু জানতে চাইলে থানায় আসেন।

মন্তব্য করুন