
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগরী সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান চট্টগ্রাম নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান, গণহত্যায় জড়িত ফ্যাসিবাদের দালাল ও দোসরদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ও কার্যকর ভূমিকা রাখার। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে এস এম লুৎফর রহমান বলেন, গণ-অভুত্থান পরবর্তী সময়ে আমাদের সহনশীল মনোভাবকে দুর্বলতা ধরে নিয়ে ফ্যাসিবাদের দোসররা ষড়যন্ত্র করছে। তারা বিভিন্ন শ্রম সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পায়তারা করছে। কিন্তু আমরা স্পষ্ট ও দৃঢ়তার সাথে বলছি, বাংলাদেশের জনগণ পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তির যেকোনো উত্থান সম্ভাবনাকে রুখে দিতে অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা রাখবে।
চট্টগ্রামের বিভিন্ন শ্রম সেক্টরে জুলাই গণহত্যার খুনীদের দোসর ও মদদদাতারা ঘাপটি মেরে বসে আছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন, ইপিজেড, সি-ইপিজেড, চট্টগ্রাম বন্দর, রেলওয়ে, ওয়াসা, সিটি কর্পোরেশন, সিডিএ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, শ্রম দপ্তর, দোকান ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শক কার্যালয়, শিল্প-কলকারখানা এবং প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে বসে যারা সরকারকে অচলাবস্থায় ফেলে ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থানের স্বপ্ন দেখছে, তাদেরকে আমরা চিনি। এ সকল ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইনি পদক্ষেপ ও রাজনৈতিক পদক্ষেপ নিতে হবে।
আমরা দৃঢ়তার সাথে বলছি, বাংলাদেশের বর্তমান সম্ভাবনা ও সংকট এবং সার্বিক পরিস্থিতি একটি রাজনৈতিক বিষয়। সুতরাং এই বিষয়ে প্রশাসনিক ও আইনি পদক্ষেপের পাশাপাশি রাজনৈতিকভাবে আমাদের মজবুত অবস্থান নিতে হবে। ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল শক্তিকে জুলাই গণহত্যার খুনী ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও জুলাই আন্দোলনের অর্জনকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। জনগণের দীর্ঘ সংগ্রাম, হাজার হাজার মানুষের শাহাদাত ও ত্যাগ-কুরবানির এই অর্জনকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেওয়া যাবে না। গণহত্যায় জড়িত ফ্যাসিবাদের দালাল ও দোসরদের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।
দেশের ও জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল পক্ষ কমন গ্রাউন্ডে ঐকবদ্ধ না থাকলে জুলাইয়ের খুনীরা স্যাবোট্যাজের মাধ্যমে সরকারকে বেকায়দায় ফেলবে এবং বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের পক্ষের শক্তির সাথে বেইমানি করবে। তাই সকলের প্রতি আহ্বান, ফ্যাসিবাদের দালাল ও দোসরদের ঘৃণা করুন, তাদের চক্রান্ত রুখে দিন।