নিউজগার্ডেন ডেস্ক: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, শত বাধা বিপত্তি পেরিয়ে বিএনপি আজকে জনগণের দল হিসেবে সারা বিশ্বের কাছে পরিচিতি পেয়েছে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে মাফিয়া সরকারের বিরুদ্ধে এক দফার আন্দোলন করছে। আজকে সারা বিশ্ব বাংলাদেশের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে। আর আওয়ামীলীগ বিগত নির্বাচনের মত আরেকটি নির্বাচনের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। কারণ তারা জানে, যদি দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তাহলে তারেক রহমান লন্ডন থেকে নির্বাচন করলেও জিতে যাবেন। কিন্তু শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে দেশে কোন নির্বাচন আমরা হতে দেব না। আগামী নির্বাচন হতে হবে নিরপক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। আগামী ৫ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ রোডমার্চ কর্মসূচি ইতিহাস হয়ে থাকবে।
তিনি শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে আগামী ৫ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত বিএনপির রোড়মার্চ কর্মসূচী সফল করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর পরিচালনায় প্রস্তুতি সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, সহ গ্রাম সরকার বিষয়ক সম্পাদক বেলাল আহমেদ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান।
মো. শাহজাহান বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের নির্বাচিত সরকার নয়। শেখ হাসিনাকে এদেশের মানুষ ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তারা জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। দেশে আইনের শাসন নেই, গণতন্ত্র নেই, তারা নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলেছে। আজকে সরকারের অবস্থান দেশেও নাই, বিদেশেও নাই। আমরা সরকারের পতনের দাবিতে একদফার আন্দোলনে আছি। বিজয় আমাদের হবেই। শেখ হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকারের পতনের সময় ঘনিয়ে এসেছে। আওয়ামী লীগ এখন পালাবার পথ খুঁজছে। আগামী ৫ অক্টোবর চট্টগ্রামের রোড় মার্চ কর্মসূচী যেকোনো মূল্যে সফল করতে হবে। গুম খুনের সাথে জড়িতরা যাতে পালাতে না পারে সেজন্য চট্টগ্রামে পাহারা বসাতে হবে। এখন আওয়ামী লীগকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কিভাবে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, আগামী ৫ অক্টোবর চট্টগ্রামের রোড় মার্চ কর্মসূচীতে লক্ষ লক্ষ জনতা যোগ দিবে। এই রোড় মার্চ থেকেই সরকার পতনের লাল কার্ড দেখানো হবে। সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে গৃহবন্দি করে রেখেছে। তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছে। এই সরকারের বিরুদ্ধে দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ আজকে রাস্তায় নেমে গেছে। আমরা আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাবো। শেখ হাসিনার পতন হলে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি মিলবে, গণতন্ত্র মুক্তি পাবে।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আগামী ৫ অক্টোবর চট্টগ্রামের রোড় মার্চ কর্মসূচী রাজনৈতিক ইতিহাসে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সমাবেশ ও রোড মার্চ হবে। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামতে হবে। মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে, জনগণ প্রস্তুত। এখন বিএনপিকে রাজপথে নেতৃত্ব দিতে হবে। আগামী রোড মার্চের মাধ্যমে প্রমাণ হবে, এই অবৈধ সরকারের ক্ষমতায় থাকার আর কোন অধিকার নাই। চট্টগ্রামের রোড মার্চ হবে সরকার পতনের রোড মার্চ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন জিয়া, এড মুফিজুল হক ভূঁইয়া, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, আশরাফ চৌধুরী, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মো. কামরুল ইসলাম, সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের আহবায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মো. আজম, মোশাররফ হোসেন ডেপটি, মো. সেকান্দর, হাজী হানিফ সওদাগর, ডা. নুরুল আবছার, এম আই চৌধুরী মামুন, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, হাজী বাদশা মিয়া, জসিম উদ্দিন জিয়া, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, নূর হোসাইন, গিয়াস উদ্দিন ভূইয়া, কাওসার হোসেন বাবু, মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক মো. সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহীন, শ্রমিকদলের সভাপতি তাহের আহম্মেদ, তাঁতীদলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, সদস্য সচিব মনিরজ্জিমান মুরাদ, জাসাসের আহবায়ক এম এ মুছা বাবলু প্রমূখ।