নিউজগার্ডেন ডেস্ক: নেজামে ইসলাম পার্টি’র আমীর সরওয়ার আলম আজিজীর উদ্বোধনী বক্তব্যের পর বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক এরশাদ উল্লাহ, জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগর আমীর আলহাজ¦ শাহজাহান চৌধুরী, ইসলামী আন্দোলনের মাহনগর আমীর জান্নাতুল ইসলাম, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর আলী ওসমান, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনির, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চট্টগ্রাম মহানগর সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন আহমেদ, এলডিপির চট্টগ্রাম মহানগর নেতা নুরুল আজগর চৌধুরী, আরো বক্তব্য রাখেন নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব আল্লামা মুসা বিন ইজাহার, নায়েবে আমির আবদুর রহমান চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আমীর আল্লামা আতাউল্লাহ হোসাইনী, শায়খুল হাদিস মাওলানা জিয়াউল হোসাইন, ড. বেলাল নূর আজিজী, ড. আবিদুর রহমান তালুকদার, ক্বারী ফজলুল করিম চৌধুরী, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম চৌধুরী, মাওলানা এরশাদ বিন জালাল, মাওলানা দিদারুল আলম, মাওলানা ইরফান হালিম, মুফতি আবুল কালাম আজাদ, মাওলানা জালাল উদ্দিন, মাওলানা এনামুল হক কুতুবী ও মাওলানা আবুল বাশার প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, জাতিকে বিভক্ত না করে ঐক্যবদ্ধ রাষ্ট্র গঠনে রাজনৈতিক দল গুলোকে ভূমিকা রাখতে হবে। অন্যথায় ফ্যাসিষ্ট আবার মাথা ছাড়া দিয়ে দেশকে ধ্বংস করে দেবে। এ ব্যাপারে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। বিপ্লব হচ্ছে রাজনৈতিক ক্ষমতা বা প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোতে একটি মৌলিক সামাজিক পরিবর্তন, যা তুলনামূলকভাবে সংক্ষিপ্ত সময়ে ঘটে এবং জনগণ চলমান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে জেগে উঠে। জুলাই বিপ্লব শব্দটা শুনলে এতকাল চোখে ভেসে উঠেছে ১৮৩০ সালে ফ্রান্সে সংগঠিত বিপ্লবের চিত্র, যা ১৮৩০ সালের ২৬ জুলাই থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। কিন্তু ২০২৪ এর জুলাইয়ে এসে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান হলো কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ‘বাংলা ব্লকেড’ শব্দটির সঙ্গে জনমণের একাত্মতাকে স্বৈরাচার সরকারের দমিয়ে রাখার প্রয়াস গিয়ে আশ্রয় খুঁজল একাত্তর পরবর্তী ঘৃণ্য ‘রাজাকার’ শব্দে।
গতকাল রাত ৬ টা হতে মুরাদপুর হোটেল জামান এক্সক্লুসিভ হলে, চট্টগ্রাম মহানগর নেজামে ইসলাম পার্টি’র উদ্যোগে ‘রক্তাক্ত জুলাই বিপ্লব: সম্বনিত রাজনীতি ও মজলুম জনতার প্রত্যাশা শীর্ষক’ আলোচনা সভা চট্টগ্রাম মহানগর নেজামে ইসলাম পার্টির আমির মাওলানা অধ্যক্ষ মনজুরুল কাদের চৌধুরী সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আনোয়ার হোসাইন রব্বানীর পরিচালায় বক্তারা আরো বলেন, চট্টগ্রামের ইতিহাসে মুক্তিযুদ্ধসহ সকল আন্দোলন সংগ্রাম এর ইতিহাস রচনা করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম হতে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখা এখন সময়ের দাবী।
বক্তারা আরো বলেন, কোটা আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটে ৫ আগস্ট, বিগত দেড় দশক ধরে বাংলাদেশের ঘাড়ে চেপে বসা স্বৈরাচার খুনি হাসিনা সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে। এই দীর্ঘসময়ে দেশের গণতন্ত্রের টুঁটি চেপে ধরে একাধিকবার একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের জনগণের সঙ্গে উপহাস করেছে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
বক্তব্য রাখেন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ওলামা মাশায়েখ, ছাত্র-জনতা, সাংবাদিক, আইনজীবি ও ইসলামি গবেষক।