৭ নভেম্বর সরকারি ছুটি পুর্নবহাল করতে হবে: মীর হেলাল

নিউজগার্ডেন ডেস্ক: বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেছেন, ৭ নভেম্বর একটি সিপাহী জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশের সূচনা হয়। শহীদ জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন হয়, মুক্ত অর্থনীতি, মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠা হয়। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ৭ নভেম্বর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই দিনে বাংলাদেশ আধিপত্যবাদ থেকে বেরিয়ে এসেছিল। তাই এই দিনটিকে নতুন প্রজন্মের সামনে নিয়ে আসতে হবে। ৭ নভেম্বর সরকারি ছুটি পুর্নবহাল করতে হবে।

তিনি শনিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

কর্মসূচিগুলো হল-৭ই নভেম্বর সকাল ৬ টায় নাসিমন ভবনস্থ বিএনপি কার্যালয়সহ দলীয় কার্যালয়গুলোতে দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং মাইকে শহীদ জিয়া, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ভাষণ প্রচার করা হবে। সকালে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) মাজারে পুস্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ। ৯ নভেম্বর চট্টগ্রামে বর্ণাঢ্য র‌্যালি অনুষ্ঠিত হবে। তাছাড়া জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) উদ্যোগে ৭ দিনের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে জাসাসের উদ্যোগে ৭ নভেম্বর বিকাল ৩ টায় নাসিমন ভবনের সামনে নেভাল চত্বরে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মঞ্চ নাটক অনুষ্ঠিত হবে। তাছাড়া ৭ নভেম্বরের ডকুমেন্টরি (ভিডিও, স্থিরচিত্র) ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট মিডিয়াসহ ফেসবুক, ইউটিউব, অনলাইনে প্রকাশ করা হবে। দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন স্ব স্ব উদ্যোগে আলোচনা সভা ও অন্যান্য কর্মসূচি পালন করবে।

এসময় সভাপতির বক্তব্যে এরশাদ উল্লাহ বলেন, ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস জাতির ঐক্যের দিন। এই চেতনাকে আবার পুনঃস্থাপিত করতে হবে। আওয়ামীলীগ বিগত ১৭ বছর নতুন প্রজন্মকে ৭ নভেম্বর সম্পর্কে জানতে দেয়নি। এখন সুযোগ এসেছে, শহীদ জিয়া ও বিপ্লব সংহতি দিবস সম্বন্ধে জানাতে হবে। তারা বিপ্লব ও সংহতি দিবসকে ইতিহাস থেকে মুছলেও মানুষের মন থেকে মুছতে পারেনি।

নাজিমুর রহমান বলেন, ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের অগ্রগতি উন্নয়নের সূচনা। ৭ নভেম্বরকে মনেপ্রাণে ধারণ করতে হবে। স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়াকে এ দেশের মানুষ ভালোবাসে বলেই সিপাহি জনতা বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে ক্ষমতায় বসিয়েছিল দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও দেশের কল্যাণ অগ্রগতির জন্য।

এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপি নেতা এড. আবদুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দিন, সফিকুর রহমান স্বপন, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, এস এম আবুল ফয়েজ, কাজী বেলাল উদ্দিন, শাহ আলম, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, থানা বিএনপির সভাপতি মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, হাজী হানিফ সওদাগর, থানা সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাবুদ্দীন, হাজী বাদশা মিয়া, জসিম উদ্দিন জিয়া, মাঈনুউদ্দীন চৌধুরী মাঈনু, কেন্দ্রীয় শ্রমিকদলের সদস্য আজিজ উদ্দিন মিন্টু, কেন্দ্রীয় জাসাসের সদস্য আমিনুল ইসলাম আমিন, মহানগর জাসাসের আহবায়ক এম এ মুছা বাবলু, সদস্য সচিব মামুনুর রশীদ শিপন, মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, কৃষকদলের সদস্য সচিব সাবের আহমেদ টারজান সহ ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ।

মন্তব্য করুন